স্বদেশ ডেস্ক:
হলি আর্টিজান হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যান মাথায় ‘আইএস টুপি’ পরে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। কড়া নিরাপত্তায় পুলিশি হেফাজতে থেকেও এই টুপি কীভাবে পেলেন তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।
আজ বুধবার দুপুরে হলি আর্টিজান হামলা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায়ের আগে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রিজনভ্যানে কারাগার থেকে আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। ওই সময় তারা হাসিমুখে আদালতে প্রবেশ করে।
ওই সময় আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মাথায় ‘আইএস টুপি’ দেখা গেছে। পুলিশি হেফাজতে থাকার পর রিগ্যান কীভাবে এ টুপি পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রায় ঘোষণার পরে দণ্ডপ্রাপ্তদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলার পর আরও এক জঙ্গির মাথায় ওই টুপি দেখা যায়।
ফারজানা রুপা নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাকিবুল হাসান রিগ্যান। হলি আর্টিজান হামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৭ জনের ১! আইএসের টুপি মাথায় এসেছিল আদালতে। কারাগার, আদালত নাকি পথের কোথাও টুপিটা পেল?’
আইএসের টুপির বিষয়ে সুদিপ সুদিপ্ত লিখেন, ‘খুবই অবাক করার বিষয়।’
শরিফুল হাসান নামে আরও একজন লিখেছেন, ‘আমারও প্রশ্ন হলি আর্টিজান হামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৭ জনের একজন রিপন (রিগ্যান) কী করে আইএসের টুপি পেল? কারাগার, আদালত নাকি পথের কোথাও? আদালতে তাকে সেটা পড়তে দেওয়া হলো কেন? কারা তাকে বীর বানাতে চায়?’
জহিরুল হক নামে একজন বলেন, ‘যেখানেই পাক টুপি তার হাতে গেল কীভাবে?’
জঙ্গির মাথায় আইএস টুপি কীভাবে এলো-এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমি কি এটার জবাব দিতে পারবো? তবে এটা কীভাবে এলো সেটা অবশ্যই তদন্ত করা হবে।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারীও সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
রিগ্যানের আইএস টুপি পরে আদালতে আসার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি বিস্মিত হয়েছি। এই দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। তারা দায়িত্ব এড়াতে পারে না। এ নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।’